দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের আত্মঘাতী যুদ্ধ পরিকল্পনা
২২ আগস্ট ২০২৫
সায়ন্ত রহমান
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষভাগে এসে চরম হতাশায় পড়া জাপান সামরিক ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এক কৌশল অবলম্বন করে—আত্মঘাতী হামলা। প্রশান্ত মহাসাগরীয় যুদ্ধে একের পর এক পরাজয়ের মুখে জাপানি সামরিক নেতৃত্ব এমন পরিকল্পনা নেয় যেখানে যোদ্ধাদের জন্য জীবিত ফিরে আসার কোনো সুযোগ রাখা হয়নি।
সবচেয়ে কুখ্যাত হয়ে ওঠে ‘কামিকাজে’ ইউনিট। বিস্ফোরকভর্তি বিমান নিয়ে
আত্মঘাতী পাইলটরা ইচ্ছাকৃতভাবে মিত্রবাহিনীর যুদ্ধজাহাজে আছড়ে পড়তেন। ১৯৪৪ সালের লেইতে উপসাগরের যুদ্ধে প্রথম চালু হওয়া এই কৌশল পুরো বিশ্বকে নাড়িয়ে দেয়। যদিও জাপানের বিমান ও নৌবাহিনী তখন ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়েছিল, তবুও কামিকাজে হামলায় মার্কিন জাহাজগুলোতে ব্যাপক ক্ষতি হয় এবং হাজারো নাবিক নিহত হন।
শুধু কামিকাজে নয়, জাপান সেনাবাহিনী তৈরি করেছিল ‘কাইতেন’ মানব টর্পেডো, আত্মঘাতী সাবমেরিন এবং এমনকি সাধারণ নাগরিকদেরও প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছিল—যাতে মিত্রবাহিনী যদি মূল ভূখণ্ডে আক্রমণ চালায়, তবে সবাই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আত্মঘাতী প্রতিরোধে অংশ নিতে পারে। গোপন নথিতে উল্লেখ ছিল, মিত্রশক্তির পরিকল্পিত আক্রমণ (অপারেশন ডাউনফল) বাস্তবায়িত হলে লাখো জাপানি নাগরিককে আত্মাহুতি দিতে বাধ্য করা হতো।
যদিও জাপানের সামরিক নেতৃত্ব এসব আত্মঘাতী পরিকল্পনাকে ‘সম্মান’ ও ‘বুশিদো চেতনা’র অংশ হিসেবে প্রচার করেছিল, ইতিহাসবিদদের মতে এগুলো আসলে ছিল চরম হতাশা ও প্রচারণার ফসল। অবশেষে ১৯৪৫ সালের আগস্টে হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলা এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের যুদ্ধে প্রবেশের পর জাপান আত্মসমর্পণ করে। ফলে দেশব্যাপী আত্মঘাতী প্রতিরক্ষার মহাপরিকল্পনা আর বাস্তবায়িত হয়নি।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এই আত্মঘাতী কৌশলগুলো আজও ইতিহাসের ভয়াবহতম স্মৃতি হিসেবে রয়ে গেছে—যা একদিকে জাপানি নেতৃত্বের উন্মত্ততা, অন্যদিকে হাজারো তরুণ প্রাণের করুণ মৃত্যুর প্রতীক।
ইসলামি ঐতিহ্যে বণী-ইসরাইল বা “ইস্রায়েলের সন্তানসম্ভব জাতি” বলতে বুঝায় নবী ইয়াকুব (আঃ)-এর সন্তান ও তার বংশধরদের একটি জাতি, যারা আল্লাহর আদেশ ও নম্রতার ধর্ম পালন করতেন। “ইস্রায়েল” শব্দটি ইয়াকুব (আঃ)-এর আরেক নাম এবং “বণী-ইসরাইল” শব্দটি ইয়াকুব (আঃ)-র বংশধরদের প্রতিনিধিতার জন্য
মিসরের ইতিহাসে এক অভাবনীয় ঘটনাই ঘটেছিল যখন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে নবী ইউসুফ (আ.) দেশটির অর্থ ও খাদ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত হন। ফেরাউনের স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি শুধু নিজের প্রজ্ঞা নয়, প্রমাণ করেছিলেন আল্লাহপ্রদত্ত এক অলৌকিক জ্ঞান ও দূরদর্শিতা।
বর্ণনা অনুযায়ী,
সিজার লোমব্রোসো (1835-1909) উনিশ শতকের একজন ইতালিয়ান চিকিৎসক, নৃবিজ্ঞানী এবং অপরাধবিজ্ঞানী ছিলেন। আধুনিক অপরাধবিদ্যার পিতা হিসেবে তাকে অভিহিত করা হয়। লোমব্রোসো মূলত “জন্মগত অপরাধী” তত্ত্বের মাধ্যমে খ্যাতি লাভ করেন। তার মতে, কিছু মানুষ জন্মগতভাবেই অপরাধ প্রবণ হয়ে জন্মায়। তিনি ধারণা
১৯৮১ সালের একটি অন্ধকার রাত। প্যারিসের শান্ত একটি কলেজ শহর হঠাৎ কেঁপে ওঠে এক অতিমাত্রায় জঘন্য হত্যাকাণ্ডের খবর শুনে। একজন জাপানি ছাত্র, ইসেই সাগাওয়া, তার সহপাঠী রেনি হার্টেভেল্টকে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং পরবর্তীতে তার দেহের horrifying অংশ খেতে শুরু করে।