সিজার লোমব্রোসো: অপরাধবিদ্যার জনক এবং বৈজ্ঞানিক বর্ণবাদের বিতর্ক
২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সায়ন্ত রহমান
সিজার লোমব্রোসো (1835-1909) উনিশ শতকের একজন ইতালিয়ান চিকিৎসক, নৃবিজ্ঞানী এবং অপরাধবিজ্ঞানী ছিলেন। আধুনিক অপরাধবিদ্যার পিতা হিসেবে তাকে অভিহিত করা হয়। লোমব্রোসো মূলত “জন্মগত অপরাধী” তত্ত্বের মাধ্যমে খ্যাতি লাভ করেন। তার মতে, কিছু মানুষ জন্মগতভাবেই অপরাধ প্রবণ হয়ে জন্মায়। তিনি ধারণা করেছিলেন যে, অপরাধীরা শারীরিক বৈশিষ্ট্যের মাধ্যমে শনাক্তযোগ্য, যেমন কপালের আকৃতি,
কানের আকার, দাঁতের গঠন, নাকের ধরন বা চোখের অবস্থান।
তবে লোমব্রোসোর তত্ত্বের সবচেয়ে বিতর্কিত দিক হলো তার বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গি। তিনি বিশ্বাস করতেন যে, কিছু জাতি বা নৃগোষ্ঠীর মধ্যে অপরাধ প্রবণতা স্বাভাবিকভাবে বেশি। এই ধারণা থেকে তিনি সামাজিক এবং নৃশংস বৈষম্যের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি তৈরি করার চেষ্টা করেছিলেন। উদাহরণস্বরূপ, তিনি আফ্রিকান, ইউরোপীয় ও এশিয়ান জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে অপরাধ প্রবণতার তুলনা করার চেষ্টা করেন এবং কিছু নৃগোষ্ঠীর মানুষকে “প্রাকৃতিক অপরাধী” বলে চিহ্নিত করেছিলেন।
লোমব্রোসোর কাজের ইতিবাচক দিক হলো তিনি অপরাধকে কেবল নৈতিক বা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, বৈজ্ঞানিক ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করেছিলেন। তার গবেষণা ক্রিমিনাল অ্যানথ্রোপোলজি এবং ক্রিমিনোলজির মতো নতুন শাখার সূচনা করে। তিনি প্রথমবারের মতো অপরাধীর শারীরিক এবং মানসিক বৈশিষ্ট্য পর্যবেক্ষণ করে অপরাধের কারণ বোঝার চেষ্টা করেন। এই প্রচেষ্টা অপরাধবিদ্যাকে এক বৈজ্ঞানিক শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসে।
সমালোচনা:
লোমব্রোসোর জন্মগত অপরাধী তত্ত্ব আজ বৈজ্ঞানিকভাবে অব্যাহতিপ্রাপ্ত এবং প্রায় পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। তার বর্ণবাদী মানসিকতা মানুষের আচরণের জটিলতা, সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাবকে পুরোপুরি উপেক্ষা করেছে। তার তত্ত্ব ব্যবহার করে সমাজে বৈষম্য ও নৃশংস প্রভাব প্রচার করা হয়েছে। অনেক সমালোচক মনে করেন, লোমব্রোসোর গবেষণা প্রমাণিত বৈজ্ঞানিক ভিত্তির তুলনায় রাজনৈতিক ও বর্ণবাদী উদ্দেশ্যকে সমর্থন করেছে।
যদিও তার তত্ত্ব বিতর্কিত, সিজার লোমব্রোসোর কাজ অপরাধবিদ্যার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসেবে রয়ে গেছে। তিনি প্রথমবার বৈজ্ঞানিক গবেষণার মাধ্যমে অপরাধের স্বাভাবিক এবং সামাজিক উপাদানগুলোকে আলাদা করে দেখার প্রচেষ্টা করেছেন। তবু, তার বর্ণবাদী মতবাদ এবং জন্মগত অপরাধী তত্ত্বের কারণে তার নাম আজও সমালোচনার মুখে পড়ে।
ইসলামি ঐতিহ্যে বণী-ইসরাইল বা “ইস্রায়েলের সন্তানসম্ভব জাতি” বলতে বুঝায় নবী ইয়াকুব (আঃ)-এর সন্তান ও তার বংশধরদের একটি জাতি, যারা আল্লাহর আদেশ ও নম্রতার ধর্ম পালন করতেন। “ইস্রায়েল” শব্দটি ইয়াকুব (আঃ)-এর আরেক নাম এবং “বণী-ইসরাইল” শব্দটি ইয়াকুব (আঃ)-র বংশধরদের প্রতিনিধিতার জন্য
মিসরের ইতিহাসে এক অভাবনীয় ঘটনাই ঘটেছিল যখন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে নবী ইউসুফ (আ.) দেশটির অর্থ ও খাদ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত হন। ফেরাউনের স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি শুধু নিজের প্রজ্ঞা নয়, প্রমাণ করেছিলেন আল্লাহপ্রদত্ত এক অলৌকিক জ্ঞান ও দূরদর্শিতা।
বর্ণনা অনুযায়ী,
১৯৮১ সালের একটি অন্ধকার রাত। প্যারিসের শান্ত একটি কলেজ শহর হঠাৎ কেঁপে ওঠে এক অতিমাত্রায় জঘন্য হত্যাকাণ্ডের খবর শুনে। একজন জাপানি ছাত্র, ইসেই সাগাওয়া, তার সহপাঠী রেনি হার্টেভেল্টকে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং পরবর্তীতে তার দেহের horrifying অংশ খেতে শুরু করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষভাগে এসে চরম হতাশায় পড়া জাপান সামরিক ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এক কৌশল অবলম্বন করে—আত্মঘাতী হামলা। প্রশান্ত মহাসাগরীয় যুদ্ধে একের পর এক পরাজয়ের মুখে জাপানি সামরিক নেতৃত্ব এমন পরিকল্পনা নেয় যেখানে যোদ্ধাদের জন্য জীবিত ফিরে আসার কোনো সুযোগ