মিসরের অর্থমন্ত্রী হিসেবে নবী ইউসুফ (আ.)-এর দায়িত্ব গ্রহণ: এক অলৌকিক উত্থানের ইতিহাস
৭ অক্টোবর ২০২৫
সায়ন্ত রহমান
মিসরের ইতিহাসে এক অভাবনীয় ঘটনাই ঘটেছিল যখন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে নবী ইউসুফ (আ.) দেশটির অর্থ ও খাদ্য ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োজিত হন। ফেরাউনের স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি শুধু নিজের প্রজ্ঞা নয়, প্রমাণ করেছিলেন আল্লাহপ্রদত্ত এক অলৌকিক জ্ঞান ও দূরদর্শিতা।
বর্ণনা অনুযায়ী, ফেরাউন এক রাতে এক রহস্যময় স্বপ্ন দেখেন— সাতটি মোটা গাভীকে
সাতটি রোগা গাভী খেয়ে ফেলছে, আর সাতটি সবুজ শস্যগুচ্ছের পর শুকনো শস্য দেখা দিচ্ছে। রাজ্যের কোনো জ্যোতিষী, পুরোহিত বা উপদেষ্টা এই স্বপ্নের ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। ঠিক তখনই কারাগারে থাকা এক ব্যক্তি ফেরাউনকে নবী ইউসুফ (আ.)-এর কথা জানান, যিনি পূর্বে তার স্বপ্নের ব্যাখ্যা সঠিকভাবে দিয়েছিলেন।
ফেরাউন ইউসুফ (আ.)-কে ডেকে পাঠালে তিনি ব্যাখ্যা দেন— মিসরে সাত বছর হবে প্রাচুর্যের, এরপর আসবে সাত বছর ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের। তিনি পরামর্শ দেন, প্রাচুর্যের বছরে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করলে দুর্ভিক্ষের বছরগুলো সহজে পার করা সম্ভব হবে। ইউসুফ (আ.)-এর জ্ঞানে ও দূরদৃষ্টিতে মুগ্ধ হয়ে ফেরাউন ঘোষণা দেন,
“তুমি আজ থেকে আমাদের রাষ্ট্রের ভাণ্ডার ও অর্থনীতির প্রধান দায়িত্বে থাকবে।”
এইভাবেই এক সময়ের কারাবন্দি ইউসুফ (আ.) মিসরের অর্থমন্ত্রী বা ‘আজিজ-ই-মিসর’ পদে আসীন হন। তার প্রশাসনিক দক্ষতা ও ঈমানদার পরিচালনায় মিসর শুধু দুর্ভিক্ষের ভয়াবহতা এড়াতে সক্ষম হয় না, বরং আশপাশের দেশগুলোকেও খাদ্য সরবরাহ করতে সক্ষম হয়।
ইতিহাসবিদরা বলেন, নবী ইউসুফ (আ.)-এর এই দায়িত্ব গ্রহণ ছিল মানবসভ্যতার প্রাচীন অর্থনীতি ব্যবস্থাপনার এক বাস্তব উদাহরণ। তার প্রজ্ঞা, ন্যায়পরায়ণতা ও সুশাসনের দৃষ্টান্ত আজও রাষ্ট্র পরিচালনার পাঠ হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইউসুফ (আ.)-এর উত্থান কেবল এক রাজনীতিক ঘটনার নয়; এটি ঈমান, ধৈর্য ও ন্যায়ের চূড়ান্ত বিজয়ের প্রতীক। তিনি প্রমাণ করেছেন— সত্য, জ্ঞান ও আল্লাহর ওপর বিশ্বাস একজন মানুষকে কারাগার থেকে রাজপ্রাসাদ পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারে।
ইসলামি ঐতিহ্যে বণী-ইসরাইল বা “ইস্রায়েলের সন্তানসম্ভব জাতি” বলতে বুঝায় নবী ইয়াকুব (আঃ)-এর সন্তান ও তার বংশধরদের একটি জাতি, যারা আল্লাহর আদেশ ও নম্রতার ধর্ম পালন করতেন। “ইস্রায়েল” শব্দটি ইয়াকুব (আঃ)-এর আরেক নাম এবং “বণী-ইসরাইল” শব্দটি ইয়াকুব (আঃ)-র বংশধরদের প্রতিনিধিতার জন্য
সিজার লোমব্রোসো (1835-1909) উনিশ শতকের একজন ইতালিয়ান চিকিৎসক, নৃবিজ্ঞানী এবং অপরাধবিজ্ঞানী ছিলেন। আধুনিক অপরাধবিদ্যার পিতা হিসেবে তাকে অভিহিত করা হয়। লোমব্রোসো মূলত “জন্মগত অপরাধী” তত্ত্বের মাধ্যমে খ্যাতি লাভ করেন। তার মতে, কিছু মানুষ জন্মগতভাবেই অপরাধ প্রবণ হয়ে জন্মায়। তিনি ধারণা
১৯৮১ সালের একটি অন্ধকার রাত। প্যারিসের শান্ত একটি কলেজ শহর হঠাৎ কেঁপে ওঠে এক অতিমাত্রায় জঘন্য হত্যাকাণ্ডের খবর শুনে। একজন জাপানি ছাত্র, ইসেই সাগাওয়া, তার সহপাঠী রেনি হার্টেভেল্টকে নির্মমভাবে হত্যা করে এবং পরবর্তীতে তার দেহের horrifying অংশ খেতে শুরু করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষভাগে এসে চরম হতাশায় পড়া জাপান সামরিক ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ এক কৌশল অবলম্বন করে—আত্মঘাতী হামলা। প্রশান্ত মহাসাগরীয় যুদ্ধে একের পর এক পরাজয়ের মুখে জাপানি সামরিক নেতৃত্ব এমন পরিকল্পনা নেয় যেখানে যোদ্ধাদের জন্য জীবিত ফিরে আসার কোনো সুযোগ