যুক্তরাষ্ট্রের ইউক্রেন শান্তি পরিকল্পনা ২৮ দফা থেকে কমিয়ে ১৯ দফা
২৫ নভেম্বর ২০২৫
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ইউক্রেন শান্তি পরিকল্পনা ২৮ দফা থেকে কমিয়ে ১৯ দফায় আনা হয়েছে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় কয়েক দফা আলোচনার পর এই সংশোধন করা হয়। খসড়ার বিতর্কিত কয়েকটি প্রস্তাব নিয়ে কিয়েভ ও ইউরোপীয় মিত্রদের উদ্বেগের প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
মার্কিন ও ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানান, জেনেভার বৈঠকটি ছিল
“গঠনমূলক”, তবে সংশোধিত পরিকল্পনাটিও এখনো চূড়ান্ত নয়। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, ইউক্রেন ও ইউরোপীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় “অসাধারণ অগ্রগতি” হয়েছে, যদিও আরও কাজ বাকি রয়েছে। যৌথ এক বিবৃতিতেও এই অগ্রগতির কথা উল্লেখ করা হয়।
ফিনান্সিয়াল টাইমসকে আলোচনায় অংশ নেওয়া কয়েকজন জানান, পুরোনো খসড়া থেকে ৯টি প্রস্তাব বাদ দেওয়া হয়েছে। কোনগুলো বাদ পড়েছে তা তারা প্রকাশ করেননি। তবে ইউরোপীয় কর্মকর্তারা আগে থেকেই রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা, জব্দ করা রুশ সম্পদের ব্যবস্থাপনা ও সেগুলোর সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার ইইউ–এর হওয়া উচিত বলে আপত্তি জানিয়েছিলেন।
ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব এই দফা কমানোকে “এক ধাপ এগোনো” হিসেবে দেখছেন, তবে তিনি সতর্ক করে বলেন— এখনো বহু জটিলতা রয়ে গেছে।
সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ২৮ দফা পরিকল্পনাটি জেনেভায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়, যেখানে ওয়াশিংটন, কিয়েভ ও ইউরোপীয় প্রতিনিধিরা অংশ নেন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, এটি তার “চূড়ান্ত প্রস্তাব” নয়; পাশাপাশি কিয়েভ ও মিত্রদের উদ্বেগও বাড়ছে।
খসড়া অনুযায়ী, ইউক্রেনকে রাশিয়ার কাছে আরও কিছু অঞ্চল ছেড়ে দিতে হতে পারে, সামরিক বাহিনীর আকার সীমিত করতে হতে পারে এবং ন্যাটোতে যোগদানের প্রচেষ্টা আনুষ্ঠানিকভাবে পরিত্যাগ করতে হতে পারে। এই পরিকল্পনা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় দিয়েছেন ট্রাম্প।
জেলেনস্কি এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এখন ইউক্রেনের সামনে কঠিন সিদ্ধান্ত— “আমরা কি আমাদের মর্যাদা হারানোর ঝুঁকি নেব, নাকি একজন গুরুত্বপূর্ণ মিত্রকে হারানোর ঝুঁকি নেব?”
এদিকে গত শনিবার ইউরোপের ৯টি দেশ, জাপান, কানাডা এবং ইইউয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা এক যৌথ বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা জানান, ইউক্রেনের সামরিক শক্তি সীমিত করার প্রস্তাব দেশটিকে ভবিষ্যতে আরও বড় হামলার ঝুঁকিতে ফেলবে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির নবনির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানির প্রকাশ্য সতর্কতা সত্ত্বেও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন যে তিনি নিউইয়র্ক সফরে যাবেন। মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর মামদানি ঘোষণা করেছিলেন—যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) জারি করা পরোয়ানা অনুযায়ী সুযোগ পেলে তিনি নেতানিয়াহুকে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, প্যানোরমা তথ্যচিত্রে তার বক্তব্য যেভাবে সম্পাদনা করা হয়েছে, সে বিষয়ে তিনি বিবিসির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন। তিনি আশা করছেন, আগামী সপ্তাহে মামলা হবে, যার পরিমাণ ১ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার হতে পারে।
বিবিসি গত শুক্রবার জানিয়েছে,
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আবারও মুখোমুখি বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফোনালাপের পর হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টে এ বৈঠকের ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) আল জাজিরা জানায়, ট্রাম্প জানিয়েছেন— ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আলোচনার জন্য তিনি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস যদি স্বেচ্ছায় অস্ত্রসমর্পণ না করে, তাহলে তাদের নিরস্ত্র করতে যুক্তরাষ্ট্র পদক্ষেপ নেবে এবং সেই পদক্ষেপ ভয়াবহ হতে পারে। তিনি এ কথা মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জানান।
ট্রাম্প বলেন, তিনি